যশোরের অভয়নগরে সরকারি খালে নেট-পাটা ও বিভিন্ন জালসহ পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে এমন কিছু থাকলে তা নিজ উদ্যোগে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জেল-জরিমানা অথবা দেশের প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে এ সংক্রান্ত মাইকিং শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলা সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির নিয়মিত সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান, নওয়াপাড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম কুমার সোম, ইউপি চেয়াম্যান সানা আব্দুল মান্নান, জহুরুল ইসলাম, বিকাশ রায় কপিল সহ উপজেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা।
সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প পরিচিতি, সভার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করেন, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস। পুনখননকৃত খালের সমস্যাসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার কৃষিবিদ শেখ মনিরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পার্থ প্রতিম শীল বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ মাছ শিকারের জন্য সরকারি খালে নেট-পাটা ও বিভিন্ন জাল বসিয়ে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করেছেন। যে কারণে উপজেলার সুন্দলী, চলিশিয়া, পায়রা, শুভরাড়া ও সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিজ নিজ উদ্যোগে খাল থেকে নেট-পাটা ও বিভিন্ন জাল অপসারণ করতে হবে। তা না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জেল-জরিমানা অথবা প্রচলিত আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাইকিং শুরু করা হয়েছে।’
খুলনা গেজেট/এসএস